অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনা ও কয়েকটি প্রধান শহরের আজকের ইফতার ও আগামীকালের সেহরির শেষ সময়
কবির আহমেদ, ইউরোপ ডেস্কঃ আজ বুধবার ৬ এপ্রিল অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় ইফতারের সময় : ১৯:৩১ মিনিট। (Ifter in Vienna at 19:31 p.m)
আগামীকাল বৃহস্পতিবার ৭ এপ্রিল ভিয়েনায় সেহরির শেষ সময় : রাত ৪:৫০ মিনিট।
ভিয়েনার সাথে অস্ট্রিয়ার অন্যান্য কয়েকটি ফেডারেল রাজ্যের প্রধান শহরের সময়ের পার্থক্য নিম্নে উল্লেখ করা হল,
* Innsbruck (Tirol) + 20 Min.
* Salzburg + 13 Min.
* Villach (Kärnten) + 10 Min.
* Linz (OÖ) + 08 Min.
*Klagenfurt (Kärnten) + 08 Min.
* Graz (Steiermark) + 4 Min.
* St. Pölten (NÖ) + 3 Min.
ইসলামের ভাষ্য অনুযায়ী পৃথিবী সহ সমগ্র বিশ্বব্রম্মান্ড এক দিন ধ্বংস হয়ে যাবে। আমরা সবাই মোটামুটি জানি,সেই ধ্বংসের দিনটিই কিয়ামত। আল্লাহ পবিত্র আল কোরআনে অত্যন্ত স্পষ্ট ভাষায়, বলেছেন, তিনি কিয়ামতের পর মানুষকে তার পার্থিব জীবনের কর্ম জীবন সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিচার আয়োজন করবেন।
পবিত্র আল কোরআনে মহান আল্লাহতায়ালা বলেন,”আর সেই দিনের ভয় কর, যখন কেউ কারও সামান্য উপকারে আসবে না এবং তার পক্ষে কোন সুপারিশ কবুল হবে না; কারো কাছ থেকে ক্ষতি পূরণও নেওয়া হবে না এবং কোন রকম সাহায্য পাবে না”।[সূরা আল বাক্বারা,আয়াত:৪৮]
আমাদের দুনিয়ার জীবন সম্পর্কে দুটি কথা, দুনিয়ার জীবন সম্পর্কে আমাদের অনেকের প্রান্তিকতা রয়েছে। কেউ আখিরাতের চিন্তা করে পৃথিবীর অবস্থানকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে। বেঁচে থাকার প্রয়োজনীয় উপকরণ ও পরিবার- পরিজনদের জীবিকার ব্যবস্থাকে অগুরুত্বপূর্ণ মনে করেন। আবার কেউ আখিরাতের জীবনকে উপেক্ষা করে দুনিয়ার অবস্থানকেই মনে করে আসল।
তাই দুনিয়াতে স্বাধীনভাবে জীবন যাপনের নানা প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখেন। অথচ দুনিয়ার ব্যাপারে সঠিক অবস্থান কি হবে তা বিস্তারিত কোরআন ও হাদিসে উল্লেখ রয়েছে। দুনিয়ার ব্যাপারে বিশিষ্ট এক বিশিষ্ট সাহাবি রাঃ এর ন্যায়সংগত একটি মন্তব্য এখানে তুলে ধরা হলো।
তখন ইসলামের প্রখ্যাত সাহাবী রাঃ ও খলিফা (সরকার প্রধান) হযরত খলিফা ওমর (রাঃ)-এর শাসন চলছিল। জাবের নামে এক ব্যক্তি সংকটে পড়ে এক রাতে মদিনায় পৌঁছেন। তিনি নিজেই বলেন, ‘সংকট সমাধানের জন্য সকাল সকাল আমি খলিফা ওমর (রাঃ)-এর দরবারে গেলাম। আমি বাকপটুতা ও যুক্তি-তর্কে বেশ পারদর্শী ছিলাম। আলোচনার শুরুতেই আমি দুনিয়াকে হেয় ও তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যভাবে উপস্থাপন করলাম। এক পর্যায়ে দুনিয়ার জীবনযাপনের সমালোচনা করে বিষয়টিকে এমন নিচু পর্যায়ে নিয়ে গেলাম যে তা আর কোনো কিছুর সমতুল্য রইল না।
বৈঠকে খলিফা হযরত ওমর (রাঃ) এর পাশে শুভ্র আকৃতির এক ব্যক্তি বসা ছিলেন। আমার আলোচনা শেষে তিনি বলে উঠলেন, ‘দুনিয়ার ব্যাপারে তোমার সমালোচনা ছাড়া বাকি সব কথাবার্তাই ভারসাম্যপূর্ণ ছিল। আচ্ছা, তুমি কি জানো দুনিয়া কি? মূলত দুনিয়া আখিরাতে পৌঁছার সহজ রাস্তা এবং এই দুনিয়া হচ্ছে আমাদের সেসব আমল ও কাজকর্মের ক্ষেত্র, যার প্রতিদান আমরা আখিরাতে পাব। ’
এ কথা শোনার পর জাবের বলেন, এভাবে দুনিয়ার বাস্তবতা ও স্বরূপ সম্পর্কে এমন এক ব্যক্তি বলা শুরু করলেন, যিনি দুনিয়া সম্পর্কে আমার চেয়ে অধিকতর ইলম ও জ্ঞান রাখেন।আমি ওমর (রাঃ)-এর কাছে এই ব্যক্তির পরিচয় সম্পর্কে জানতে চাইলাম। উত্তরে তিনি বললেন, তিনি হলেন মুসলমানদের সরদার উবাই ইবনে কাব (রাঃ)। [আদাবুল মুফরাদ, হাদিস : ৪৭৬]
আর উবাই ইবনে কাব (রাঃ) সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ বলেছেন, হে উবাই, আল্লাহ তোমাকে ‘লাময়া কুনিল্লাজিনা কাফারু মিন আহলিল কিতাব। ’ অর্থাৎ কিনা সুরা বাইয়িনাহ পড়ে শোনানোর জন্য আমাকে আদেশ করেছেন। তখন উবাই ইবনে কাব (রাঃ) জিজ্ঞেস করলেন, আল্লাহ কি আমার নাম বলেছেন? নবী (সাঃ) বললেন, হ্যাঁ। তখন তিনি (আনন্দে) কেঁদে ফেললেন। [বুখারি শরিফ, হাদিস : ৩৮০৯]
তাই শুধু দুনিয়ার সমালোচনা না করে এর বাস্তবতা বুঝে আখিরাতের অনন্ত সুখ-সমৃদ্ধি জীবন উপভোগ করার ব্যাপারে সকলে সচেষ্ট হই।