আবরার হত্যার সুষ্ঠু বিচার চায় জাতিসংঘ, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য ।

রিপন শান, বিশেষ প্রতিনিধিঃ বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত এবং বিচার চায় জাতিসংঘ। 

৯ অক্টোবর ২০১৯ বুধবার রাজধানীর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ-বিস মিলনায়তনে ডিক্যাব টকে এ মন্তব্য করেন বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো। আবরার হত্যা সম্পর্কে তিনি বলেন, এটি একটি দুঃস্বপ্ন। কোনো অভিভাবক চান না, তার সন্তান বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে এভাবে মারা যাক।

তিনি বলেন, এ মৃত্যুর পর মানুষের ক্ষোভ দেখেছি আমরা। এ হত্যার স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত এবং বিচার চায় জাতিসংঘ।এ বিষয়ে জাতিসংঘ থেকে একটি বিবৃতিও দেয়া হয়েছে বলেও জানান মিয়া সেপ্পো। ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর দফতর থেকে বুধবার দুপুরে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অবাধ মতপ্রকাশের অভিযোগে বুয়েটের এক তরুণ শিক্ষার্থী হত্যার ঘটনায় জাতিসংঘ নিন্দা জানাচ্ছে। বছরের পর বছর ধরে অভিযুক্তদের বিচার না করায় বাংলাদেশের ক্যাম্পাসগুলোতে সহিংসতায় অনেকেই প্রাণ দিয়েছেন। জাতিসংঘের বাংলাদেশ দফতর লক্ষ্য করছে, অভিযুক্তদের ধরার ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিয়েছে। এর ফলে স্বাধীন তদন্তকারীরা একটি স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে স্বচ্ছ বিচারের পথে যাবেন, যা ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সহায়ক হবে । এ হত্যাকাণ্ডে এর আগে বিস্মিত ও মর্মাহত হওয়ার কথা জানিয়ে বিবৃতি দেয় যুক্তরাজ্য। অপরদিকে  আবরার ফাহাদ হত্যায় শোক জানিয়েছে জার্মানি। পাশাপাশি মত প্রকাশের স্বাধীনতা লঙ্ঘন শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলেও মনে করেছে দেশটি। ঢাকায় অবস্থিত দেশটির দূতাবাস নিজেদের ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়। জার্মান দূতাবাস মনে করে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা গণতন্ত্রের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ মূল্যবোধ, যা বাকস্বাধীনতার স্বতন্ত্র অধিকার দেয়ার পাশাপাশি তা জনসম্মুখে প্রকাশেরও অধিকার দেয়। বিবৃতিতে বলা হয়, জার্মান সরকার নিজ দেশে যেমন এই অধিকারগুলো সমর্থন করে তেমনি সারা পৃথিবীতেও এর বাস্তবায়নে জোর সমর্থন দেয়। আর আমরা বিশ্বাস করি, এ অধিকারগুলোর লঙ্ঘন শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বুয়েট ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় জার্মান দূতাবাস মর্মাহত উল্লেখ করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আবরারের পরিবার ও তার সহপাঠী-বন্ধুদের প্রতি গভীর সমবেদনা  জ্ঞাপন করছে দূতাবাস। রোববার ৬ অক্টোবর ২০১৯ রোববার দিবাগত মধ্যরাতে বুয়েটের সাধারণ ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ফাহাদকে শেরেবাংলা হলের দ্বিতীয় তলা থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ  হাসপাতালে নিয়ে যান। ৭ অক্টোবর ২০১৯ সোমবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নির্মম এই হত্যাকাণ্ডটি নিয়ে সারাদেশ বিক্ষুব্ধ ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *