স্মরণকালের শান্তিপূর্ণ স্বচ্ছ নির্বাচনে বিপুল ভোটে লালমোহন পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হলেন নৌকার প্রার্থী হাজী এমদাদুল ইসলাম তুহিন ।

ভোলা থেকে রিপন শান, বিশেষ প্রতিনিধিঃ ভোলার লালমোহন পৌরসভা নির্বাচনে ২য় বারের মত হাজীএমদাদুল ইসলাম তুহিন বিপুল ভোটের ব্যবধানে নৌকা প্রতিক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন। উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে ১২ টি কেন্দ্রে প্রাপ্ত তথ্য মতে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী ভোলা জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য হাজী এমদাদুল ইসলাম তুহিন ১১৩৬৯ ভোট পেয়ে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। অপর পক্ষে ধানের শীষ প্রতিকের প্রার্থী উপজেলা বিএনপির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সাংবাদিক সোহেল আজিজ শাহীন পেয়েছেন ২৩০৪ ভোট।
ইভিএম ব্যবহার করে প্রথম বারের মত দীর্ঘ ৯ বছর পর লালমোহন পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। যুগান্তকারী অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠ ও আনন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে ভোলার লালমোহন পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৯ ও ১১ নং ওয়ার্ডে ইভিএম জটিলতায় ফলাফল প্রকাশে দেরী হয়। পরে ইভিএম ঠিক করে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৯ ও ১১ নং ওয়ার্ডে ভোট চলে। ইভিএম জটিলতা ছাড়া কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট সম্পূর্ণ হয়েছে। সকাল ৯টা থেকে একটানা বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভোট চলে।
ওয়ার্ড কাউন্সিলর হিসাবে যারা বিজয়ী হয়েছেন তারা হলেন ১নং ওয়ার্ডে ফরহাদ হোসেন মেহের (বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায়) , ২নং ওয়ার্ডে হেলাল উদ্দিন হাওলাদার, ৩নং ওয়ার্ডে অহিদুজ্জামান মাস্টার, ৪নং ওয়ার্ডে রায়হান মাসুম, ৫নং ওয়ার্ডে ইমাম হোসেন হাওলাদার, ৬নং ওয়ার্ড জহিরুল ইসলাম মাসুদ পাটওয়ারী, ৭নং ওয়ার্ডে শাহ মোহাম্মদ জাহেদুল ইসলাম নবীন, ৮নং ওয়ার্ডে সাইফুল কবীর, ৯নং ওয়ার্ডে আনোয়ার হোসেন হিরন হায়দার, ১০নং ওয়ার্ডে সিরাজ মাতাব্বর, ১১নং ওয়ার্ডে এহসানুল হক ফরিদ ১২নং ওয়ার্ডে জসিম উদ্দিন ফরাজী। এছাড়া বিজয়ী সংরক্ষিত ওয়ার্ড মহিলা কাউন্সিলর গণ হলেন : ১,২,৩ নং ওয়ার্ডে মিসেস জান্নাত বেগম । ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডে মিসেস লুৎফা বেগম । ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডে মিসেস দুলী বেগম ১০,১১,১২ নং ওয়ার্ডে ফেরদাউস বেগম।
উল্লেখ্য , লালমোহন পৌরসভার মোট ভোটার ছিল ১৯১০০ জন। পুরুষ ৯৭০৩ এবং মহিলা ৯৭৯৭ জন। মেয়র পদে ২জন সহ মোট প্রার্থী ছিল ৬২ জন। ভোলার লালমোহন পৌরসভায় স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতায় অনন্য নজির সৃষ্টি করা এই নির্বাচনে উৎসবের আনন্দে ভোট দিতে পেরে খুশি আপামর পৌরবাসী । ভোলার সুদক্ষ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম সিদ্দিক, পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, লালমোহন উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাবিবুল হাসান রুমি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লালমোহন সার্কেল রাসেলুর রহমান, লালমোহন থানা অফিসার ইনচার্জ মীর খায়রুল কবীর সহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তার অবদান কে চিরদিন মনে রাখবে লালমোহন পৌরবাসী । কারণ স্বাধীনতার পরে এই প্রথম তারা এতো সুন্দর একটি নির্বাচন উপহার পেল ।
