ঝালকাঠির রাজাপুরের সবচেয়ে বৃহৎ ছাগল ভেড়ার খামারটি হুমকির মুখে

এই ঘটনা নিয়ে প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ ও পুলিশ প্রসাশন তদন্তে নেমেছে। এই খামারের ছাগল ও ভ্যারাগুলিকে উন্নতমানের প্রতিশোধক ভ্যকসিন দেয়া হয়েছিল এবং সার্বক্ষনিকভাবে প্রাণি সম্পদ বিভাগের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে খামার পরিচালনা করছিল আশিকুর খলিফা রিংকু। রাজাপুর উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকতার্ ডাঃ দিনেশ তালুকদার জানিয়েছে তাদের ও কৃষি বিভাগের প্রাথমিক তদন্তে এই প্রাণির মৃত্যু বিষক্রিয়াজনিত কারণে হতে পারে। ছাগল ও ভ্যারার বিচরণ করা বিশাল জায়গায় বিভিন্ন স্থানে ঘাঁসে বিষ দেওয়ার মত আলামত রয়েছে এবং বর্তমানে রাজাপুর থানাকে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে। রাজাপুর উপজেলার মধ্যে আশিকুর খলিফা রিংকুর সবচেয়ে বড় ছাগল ভেড়ার খামার। এই খামারটি তার পৌত্রিক ১৬ বিগা জমির উপরে খামারের পাশাপাশি হাঁস, গাভী লালন পাল ও মাছ চাষ রয়েছে।
৫ বছর বিদেশে কাটানের পরে এই পিংরি গ্রামের আলমগীর খলিফার পুত্র গ্রামের বাড়িতে এসে দেড় বছর পূর্বে নিজের পুজির সাথে কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে ঋৃন নিয়ে খামার গড়ে তোলেন। তার খামারে ১০২ টি হরিয়ানা, তোতাবালি, ব্লাকবেঙ্গল, কাশমীরি ও পাটনাইয়া, জাতের ছাগল ও ২৮ টি ভেড়া নিয়ে খামার শুরু করে ছিল। ধানসিঁড়ি নদীরপার থেকে ১৬ বিঘা আয়োতনের এই জায়গায় গরু ছাগলের বিচরনের জন্য ভূমি, প্রায় ১ বিঘা আয়োতনের মাছ চাষ ও বাড়ির হাঁস ও গাভী লালন পালন রয়েছে। তবে প্রধানত ছাগল ভেড়ার খামারটি মূখ্য।
আশিকুর খলিফা রিংকু আশংকা করছে এলাকার কেউ তাকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করার জন্য তার ছাগল ভেড়ার বিচরন ভূমিতে ঘাঁসে বিষনাশক কোন বিষাক্ত কেমিক্যাল ব্যবহার করে তার ছাগল ভেড়া হত্যা করা হয়েছে। তিনি তদন্ত করে এই চক্রকে চিহ্নিত করে শাস্তির দাবি করেছে এবং তার খামারটি জাতে ভবিষ্যতে নিরাপদ ও সুরক্ষিত থাকে তার জন্য সকলের সহযোগিতা চেয়েছে।
14,611 total views, 1 views today