বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পুনরায় হাসপাতালে ভর্তি

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে আবারও রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

 কবির আহমেদ,বাংলাদেশ ডেস্ক:  বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছেন, মঙ্গলবার ১২ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে তার গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নেওয়ার কথা বলা হলেও চিকিৎসকের পরামর্শে পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

তার হাসপাতালে ভর্তির বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান। তিনি জানান, খালেদা জিয়ার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য কয়েকদিন সময় লাগতে পারে, তাই হাসপাতালে ভর্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালের ১০বি ওয়ার্ডের ১০২০৪ নম্বর কেবিনে ভর্তি করা হয় বলে জানান শায়রুল কবীর। জানা গেছে, খালেদা জিয়া গত কয়েক দিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত। এ জন্য তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

এদিকে আজ বিকেলে বিএনপির চেয়ারপার্সনের সঙ্গে দেখা করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এসময় তিনি খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেন। এরআগে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৭ এপ্রিল এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। এর ছয়দিন পরে ৩ মে তিনি শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। পরে অবস্থার উন্নতি হলে এক মাস পর গত ৩ জুন চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে কেবিনে ফিরিয়ে আনা হয়। এরপর গত ১৯ জুন তাকে বাসায় নিয়ে চিকিৎসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা।

তাছাড়াও খালেদা জিয়া আর্থারাইটিস, ডায়াবেটিকের পাশাপাশি হৃদযন্ত্র ও কিডনি জটিলতায় ভুগছেন।

চিকিৎসকরা আরও জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার শরীরের বর্তমান যে অবস্থা, তাতে তাকে হাসপাতালে না রেখে বাসায় রেখেও চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব। তার হার্ট, কিডনি ও লিভারের অবস্থা ভালো নয়। এর জন্য তাকে এখন শুধু ওষুধের ওপর নির্ভরশীল হওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। একমাত্র বিদেশে নিলে এর ভালো চিকিৎসা সম্ভব। দেশে যে ব্যবস্থা রয়েছে, তাতে তাকে হাসপাতালে না রাখলেও চলবে। এ অবস্থায় তার জন্য হাসপাতাল ও বাসা একই। বরং বাসার নিজস্ব পরিবেশে তিনি মানসিকভাবে আরেকটু ভালো থাকবেন।

এখানে আরও উল্লেখ্য যে,২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজা (কারাদণ্ড) হয় খালেদা জিয়ার, পরে উচ্চ আদালতে আরও পাঁচ বছর সাজা বাড়ে। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে তাকে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেওয়া হয়। পরে সেই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে তার মুক্তির সময় আরও ছয় মাস বাড়ায় সরকার। এ বছরের মার্চে তৃতীয়বারের মতো ছয় মাসের মেয়াদ বাড়ানো হয়। গত মাসে চতুর্থবারের মতো আরও ছয় মাস বৃদ্ধি করা হয়েছে।

 14,618 total views,  1 views today