মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীতে ২ মাস মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা

    জাহিদুল ইসলাম দুলাল, লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধিঃ ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর নির্দিষ্ট এলাকায় আগামী দুই মাস সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারী করেছে সরকার। ফলে আজ ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ইং রাত ১২ টা থেকে ৩০ এপ্রিল ২০২০ ইং পর্যন্ত ২ মাস মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর ১৯০ কিলোমিটার এলাকায় ইলিশের অভয়াশ্রমে সকল ধরনের মাছ ধরা বন্ধ থাকবে।                    

মেঘনা নদীর ইলিশা থেকে চরপিয়াল পর্যন্ত ৯০ কিলোমিটার এবং তেঁতুলিয়া নদীর ভেদুরিয়া থেকে চর রুস্তম পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার এলাকায় এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবে। নিষেধাজ্ঞা চলাকালে ইলিশসহ যেকোনো মাছ আহরণ, ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ ও সরবরাহ নিষিদ্ধ থাকবে বলে জানায় ভোলা মৎস অফিস। জেলা মৎস অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলেদেরকে জাটকাসহ সকল ধরনের মাছ আহরণ থেকে বিরত থাকার জন্য ইতোমধ্যে সচেতনতামূলক সভা করা হয়েছে। নদী উপকূলীয় এলাকায় মাইকিং করা, জেলে পাড়ায় লিফলেট বিতরণ ও আড়ৎগুলোতে ব্যানার সাঁটানোসহ সকল ধরনের পস্তুতি নেয়া হয়েছে।                                                                                                                                                 

এই অভিযানে আইন অমান্য করে জেলেরা নদীতে জাল ফেলে জাটকা ইলিশ নিধন করার চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে মৎস্য আইনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে ভ্রাম্যমান আদালত। জাটকা ইলিশ নিধনে জেলেদের নিরুৎসাহিত করতে অভিযানের দুই মাসের জন্য ত্রান সহায়তা দিবে সরকার। ভোলা জেলায় ৭০,৯৪৩ টি নিবন্ধিত জেলে পরিবার রয়েছে । এসব জেলেদের প্রত্যেক পরিবারকে ৪০ কেজি করে ৫৬৭৫.৪৪০ মেঃটন চাল বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ভোলা সদর উপজেলায় ১৪২২২ পরিবারে ১১৩৭.৭৬০মেঃ টন, দৌলতখানে ১১৮৮২ পরিবারে ৯৫০.৫৬০ মেঃ টন, বোরহানউদ্দিনে ১০৪৫১ পরিবারে ৮৩৬.০৮০মেঃ টন, তজুমদ্দিনে ৭৫৫৫ পরিবারে ৬০৪.৪০০মেঃ টন, লালমোহনে ৯০৬৬ পরিবারে ৭২৫.২৮০মেঃ টন, চরফ্যাসনে ১৩৫৪৯ পরিবারে ১০৮৩.৯২০মেঃ টন ও মনপুরা ৪২১৮ পরিবারে ৩৩৭.৪৪০মেঃ টন চাল বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। যার কার্যক্রম ইতিমধ্যেই শুরু করা হয়েছে। লালমোহন উপজেলার মেঘনায় মাছ ধরা জেলে আলমগীর, রবুমাঝি, জাহাঙ্গীর, কবির জানান, মাছ ধরা বন্ধের সময় ৪০ কেজি চাল দেয়া হয়। এই সামান্য চালে সংসার চালানো কঠিন। তাই জেলে পরিবারের কথা চিন্তা করে বরাদ্ধ আরো বাড়ানো উচিত।

ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম আজহারুল ইসলাম বলেন, জেলেরা যাতে ইলিশ শিকার না করে সে জন্য প্রচার-প্রচারণা ও সচেতনতামূলক সভা করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন যারা সরকারী আইন অমান্য করে মাছ শিকার করবে তাদের বিরুদ্ধে মৎস্য আইনে সর্বনি¤œ ১ বছর থেকে ২ বছর এবং ৫ হাজার টাকা এবং উভয় দন্ডে দন্ডিত হবে।

 

 1,647 total views,  1 views today

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *