হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার, নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন কাউন্সিলররা

 মোতাব্বির হোসেন কাজল, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার পুরানবাজারে নিম্নমানের বালু ও সিমেন্ট দিয়ে ছাদ ঢালাইয়ের অভিযোগে পাবলিক টয়লেটের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় এ কাজ বন্ধ করে দেন শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলররা। 

রাতে সাংবাদিকদেরকে এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার প্যানেল মেয়র জালাল উদ্দিন মোহন বলেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পৌরসভাকে না জানিয়ে নিম্নমানের বালু ও সিমেন্ট দিয়ে ঢালাই কাজ শুরু করে।এলাকাবাসীর মাধ্যমে বিষয়টি জানার পর কাউন্সিলররা সরেজমিনে এসে ঢালাই কাজে নিম্নমানের বালু ও সিমেন্ট ব্যবহারের সত্যতা পেয়েছে, এর পরিপ্রেক্ষিতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে সঠিকভাবে কাজ করার দাবী জানালে তারা কাজ বন্ধ রাখে। 

জানা যায়, শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভায় আইডিবি প্রকল্পের আওতায় ১০টি পাবলিক টয়লেট নির্মাণের কাজ পায় জামান ট্রেডার্স।যার প্রত্যেকটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১২ লাখ টাকা।গত ৯ অক্টোবর কাজের উদ্বোধন করা হয়।

এ বিষয়ে নির্মাণকাজ দেখভালের দায়িত্বে থাকা জামান ট্রেডার্সের প্রতিনিধি বিজয় জানান, স্থানীয় কাউন্সিলররা বলছেন এই কাজে ব্যবহৃত বালু নাকি ভাল না, তাই তারা কাজে বাধা দিয়েছেন। আমরা শিডিউল মতোই কাজ করছি।

এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও।নির্মাণ কাজের কয়েকটি ছবি দিয়ে আরহাম চৌধুরী নামে একব্যক্তি লিখেছেন, এই হলো শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার পাবলিক হেলথের টয়লেটের ঢালাইয়ের বালু। দেখার কেউ নেই। বালু দিয়ে ছাদ ঢালাই তো দূরে থাক, প্রাণ-আরএফএল কোম্পানি ভিটও ভরাট করে না। ১২ লাখ টাকা প্রতিটি টয়লেটের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে। অথচ ঢালাই দেয়া হয়েছে আশুগঞ্জের ভিট ভরাটের বালু দিয়ে।টিকাদারী প্রতিষ্ঠান না হয় চোর।পৌর পরিষদের ভূমিকা কি জানতে চাই।সাথে উপর মহলের হস্তক্ষেপ ও তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ার দাবীও জানাচ্ছি।

এই পোস্টের নিচে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভা নামের ফেসবুক আইডি থেকে মন্তব্যে বলা হয়েছে, কাজ বন্ধ করা হয়েছে।পৌরসভাকে না জানিয়ে কাজ শুরু করে ছিল।

পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন, কাউন্সিলরদের কাছ থেকে বিষয়টি জানার পর আমি সরেজমিনে পরিদর্শন করে নিম্নমানের বালু ব্যবহারের বিষয়টি দেখেছি।আমি তাৎক্ষণিকভাবে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারকে বিষয়টি দেখার জন্য বলেছি।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর হবিগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ নূরুল কবির ভূঞা মুঠোফোনে জানান, ঢালাইয়ের সময় সহকারী প্রকৌশলী সেখানে উপস্থিত ছিলেন।যে বালু দিয়ে কাজ করা হয়েছে সেটি ল্যাব টেস্ট করা হয়েছে, বালু ঠিক আছে।কাজে কাউন্সিলররা এভাবে বাধা দিতে পারেন না।কোন অভিযোগ থাকলে তারা আমাদেরকে জানাতে পারতেন।আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি অবগত করবো।

 14,615 total views,  1 views today