সুইপার হয়েও অসহায় খেটে খাওয়া মানুষের পাশে রতন

সাভার সংবাদদাতা মোঃ জীবন হাওলাদার: করোনাভাইরাস আতঙ্কে সারাবিশ্ব আজ স্তম্ভিত। তাই সবচাইতে অসহায়ত্ব বোধ করছেন খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষগুলো। চিন্তা বাসা বেঁধেছে তাদের মনে, রাত গড়িয়ে সকাল হলেই বাচ্চাদের মুখে দুমুঠো ভাত কিভাবে তুলে দিবেন। এই আতঙ্কে সমাজের অনেক বিত্তবানরাই এগিয়ে এসেছে। সেই সাথে এগিয়ে আসা উচিত সমাজের প্রতিষ্ঠিত লোকগুলোর। মানুষের কষ্ট দুরবস্থা দেখে নিজে দিনমজুর সুইপার হয়েও মানবতার বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন সাভারের সুইপার রতন।
পুরো নাম মোঃ রতন শেখ, পিতা:- আলিমুদ্দিন শেখ, স্থায়ী বসবাস গ্রাম:-কাটাখালি, থানা:-গোয়ালন্দ, জেলা:- রাজবাড়ী, বর্তমানে বসবাস করেন সাভার পৌরসভা ১ নং ওয়ার্ডের জয়পাড়ায় আব্বাস ফরাজীর বাসায় ভাড়া থাকেন। রতন শেখ পেশায় একজন সুইপার। সুইপার পেশাটা একটি সেবামূলক পেশা। সাভার উপজেলার বিভিন্ন মহল্লায় ঘুরে ঘুরে মানুষের বাড়ির সেফটি ট্যাংকি,কুয়া ও চাকের ময়লা পরিষ্কার (সুইপারের কাজ) করে জীবন নির্বাহ করেন।

করোনাভাইরাস আতঙ্কে মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। তাদের কষ্টের কথা চিন্তা করে তার নিজ অর্থায়নে অসহায়, খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষের বাড়িতে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে পৌছে দিচ্ছে। খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, ডিম ও হাত ধোয়ার সাবান। সাভার পৌরসভা ১ নং ওয়ার্ডের জয়পাড়া ও জামসিং মহল্লার খেটে খাওয়া দিনমজুর এরকম ১০০ পরিবারের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন সুইপার রতন।
এ বিষয়ে সুইপার রতন বলেন, আমি নিজে একজন দিনমজুর, আমি বুঝি অভাবের কি জালা! একদিন কাজ না থাকলে সংসার কিভাবে চলবে এই চিন্তায় রাতে ঘুম আসে না। আজ কয়েকটা দিন ধরে মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছে না। কবেই বা শেষ হবে এই সমস্যা তা আল্লাহ ছাড়া কেউ বলতে পারেন না। এসব অভাবী মানুষের কথা চিন্তা করে নিজ অর্থায়নে যতটুকু পেরেছি করার চেষ্টা করেছি। আমার পেশা থেকে কতটুকুইবা আয়! আমাদের সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে আসলে এই অসহায় মানুষগুলো দুশ্চিন্তার হাত থেকে রক্ষা পেত। স্বস্তি ফিরে আসতো তাদের পরিবারে। আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন আমার সামর্থ্য অনুযায়ী মানুষকে সাহায্য করতে পারি।
4,044 total views, 1 views today