১১ এপ্রিল পর্যন্ত কারখানা বন্ধ রাখার অনুরোধ, বিজিএমইএ সভাপতি

অন লাইন ডেস্ক থেকে,কবির আহমেদঃ  আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত কারখানা বন্ধ রাখার জন্য মালিকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও  রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ড. রুবানা হক।                           
বাংলাদেশে করোনার ভয়াবহতা রুখতে দেশব্যাপী লকডাউন চলছে। দু’জনের বেশী জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর মধ্যে হাজার হাজার গার্মেন্টস শ্রমিক মিছিল করে ছুটছেন কর্মস্থলে। মালিকদের টেলিবার্তা কাল গার্মেন্টস খুলছে। কাজে যোগ দিতে হবে। এই বার্তা পাবার পর শ্রমিকরা করোনার প্রচণ্ড ঝুঁকি মাথায় নিয়ে যাচ্ছেন কাজে যোগ দিতে। গাদাগাদি করে তারা ফিরছেন। গন্তব্য গাজীপুর। বেশীরভাগ কারখানা গাজীপুর অঞ্চলেই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সামনে দিয়েই কেউ যাচ্ছেন ট্রাকে, কেউ যাচ্ছেন ভ্যানগাড়িতে। কেউ যাচ্ছেন পায়ে হেঁটে। বরিশাল অঞ্চলের শ্রমিকরা আসছেন লঞ্চে।                            
গার্মেন্টস খোলার সিদ্ধান্ত কি আত্মঘাতী নয়? গার্মেন্টস শ্রমিকদের কি জীবনের মূল্য নেই? রাস্তায় সেনাবাহিনী নামানো হলো মানুষকে ঘরে ঢুকানোর জন্য, আবার গার্মেন্টস শ্রমিকদের রাস্তায় নামিয়ে দেয়া হলো। বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ এর নেতারা বলছেন, কারখানা চালুর ব্যাপারে কোন বাধ্যবাধকতা নেই। এটা সম্পূর্ণ মালিকদের উপর। সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী টহল দিচ্ছে। কোন কোন ক্ষেত্রে জরিমানাও করছে। এরমধ্যেই গার্মেন্টস শ্রমিকদের এই মিছিল দেখে সাধারণ মানুষ হতবাক কারণ তারা ঘরে বন্দি দিনের পর দিন।                        
ওদিকে ঢাকায় হঠাৎ করেই করোনার প্রকোপ বেড়েছে। গত চব্বিশঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯ জন। এরমধ্যে ৮ জনই ঢাকার। ২টি শিশুও আক্রান্ত হয়েছে। রোগতত্ত্ব রোগ নির্ণয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা সংবাদ সম্মেলনে করোনায় আরো ২ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। বলেছেন, ঢাকায় যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে দুজন বিদেশ ফেরত। বাকিরা আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে এসেছিলেন।

 4,240 total views,  1 views today