সাবেক মন্ত্রী মোশারফ হোসেনের শাজাহানের ৮ম মৃত্যু বার্ষিকী

 ভোলা থেকে জহিরুল হকঃ সাবেক মন্ত্রী মোশারফ হোসেনের ৮ম মৃত্যু বার্ষিকী। ভোলা  জেলার কৃতি সন্তান মরহুম মোশারেফ হোসেন শাহাজান । তিনি ১৯৩৯ সালে ১৯ সেপ্টেম্বর ভোলার ঐতিহ্যবাহী মিয়াঁ বাড়িতে মিয়াঁ পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন।২০১২ সালের ৫ মে তিনি ঢাকা ইউনাইটেড হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করেন। ভোলা জেলা বিএনপি ও তার পরিবার মৃত্যু বার্ষিকী নানা আয়োজন করলেও এবছর কোভিড ১৯ করোনা ভাইরাসেরর কারনে আতঙ্কিত পুরো  বিশ্ব। তাই ৫ মে তাঁর ৮ম মৃত্যু বার্ষিকীতে জাঁকজমক ভাবে পালন হচ্ছেনা বিভিন্ন মসজিদে মিলাদ, দোয়া খতম করানো হবে।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক উপদেষ্টা বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান,ভোলা ১ ও ২ আসনের সংসদ সদস্য ভোলার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা।ভোলার মাটি ও মানুষের নেতা মরহুম মোশারেফ হোসেন শাহাজান।
তিনি ভোলা থেকে মোট ৬ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ১৯৯১ সালে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী, ২০০১ সালে ধর্ম মন্ত্রী ছিলেন। মরহুম মোশারেফ হোসেন শাহাজান ১৯৩৯ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর ভোলার ঐতিহ্যবাহী মিয়াঁ পরিবারে আলতাজের রহমান তালুকদার ও মাসুমা খাতুনের ঘরে জন্মগ্রহন করেন। ৩ ভাই এর মধ্যে তিনি প্রথম । প্রথম জীবনে তিনি তিনি নাটক, সাংবাদিকতা, আবৃতি, ফটোগ্রাফিকসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন। তার উদ্যোগে ১৯৬৮ সালে সর্ব প্রথম ভোলা প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয় তিনি সেই প্রেসক্লাবের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৮০ সালের তিনিই সর্বপ্রথম সাপ্তাহিক ভোলাবাণী প্রকাশের উদ্যোগ নেন।
১৯৬৫ সালে মাত্র সাড়ে ২৫ বছর বয়সে এমপি নির্বাচিত হয়ে সম্পৃক্ত হন রাজনীতির সাথে। ভোলার ১ম মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক ছিলেন। জিয়াউর রহমান দলটি প্রতিষ্ঠার পরপরই শাহজাহান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে যোগ দেন। ১৯৭৯ সালে তিনি বিএনপি থেকে এমপি নির্বাচিত হন তিনি। প্রেসিডেন্ট জিয়া তাকে উপমন্ত্রীর মর্যাদায় বৃহত্তর বরিশালের জেলা উন্নয়ন সমন্বয়কারী মনোনীত করেন। ১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার প্রথম মন্ত্রিসভায় তাকে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী করা হয় এবং ২০০১ সালে খালেদা জিয়ার দ্বিতীয় মন্ত্রিসভায় তিনি ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নিযুক্ত হন।
তিনি ছিলেন একজন সফল ব্যবসায়ী। তিনি ভোলার সাথে ঢাকার যোগাযোগের জন্য লঞ্চ টার্মিনালের ব্যাবস্থ্য করে দেন। লঞ্চ বব্যাবসা সহ ভোলার অনেক ব্যাবসা রয়েছে তাদের। রাজনীতির ক্ষেত্রেও তিনি ছিলেন সফল। ছাত্র জীবন থেকেই তিনি বিভিন্ন অংগ সংগঠন ও রাজনীতির সাপথে জড়িত ছিলেন।
মৃত্যু কালে তার স্রী অধ্যাপিকা, এক ছেলে তিন মে, দুই ভাই অসংখ্য গুন গ্রাহী রেখে যান।তিনি ছিলেন নিরঅহংকার সাদাসিদে মানুষ।তিনি সবসময় দলমতের উর্ধ্বে থেকে রাজনীতি করেছেন।তাই ভোলার মানুষের প্রিয় নেতা ছিলেন মোশারফ হোসেন শাজাহান। তাই সকলের
একটাই প্রত্যাশা মহান আল্লাহ যেন এই মহৎ মানুষটিকে জান্নাতের প্রসংশিত স্থান দান করেন।

 5,164 total views,  1 views today