শুদ্ধাচার পুরষ্কার পেলেন ঝালকাঠির কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক
ঝালকাঠি থেকে,বাধন রায়ঃ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের শুদ্ধাচার পুরস্কার পেলেন ঝালকাঠির উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. ফজলুল হক। কর্মক্ষেত্রে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করায় তাকে রাষ্ট্রীয় এ সম্মাননা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ে জেলা কার্যালয়ের প্রধান হিসেবে ৬৪ জেলার মধ্যে তিনি এ পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হন এবং তার দপ্তরে গ্রেড-১১ থেকে গ্রেড-২০ ভুক্ত কর্মচারী প্রধান সহকারী এসএম নাঈমুজ্জামান শুদ্ধাচার পুরস্কার পেয়েছেন।
শুদ্ধাচার পুরস্কারের জন্য নির্বাচত হওয়ায় খবর শুনে এক প্রতিক্রিয়ায় ঝালকাঠি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. ফজলুল হক বলেন, পুরস্কার পাওয়া মানে, কাজের দায়িত্ব আরো বেড়ে গেলো। এ অর্জন যেন ধরে রাখতে পারি, সেজন্য সকলের দোয়া চাচ্ছি। যারা আমাকে এই পুরস্কারে ভূষিত করলেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। উল্লেখ্য, ‘সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়: জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল’ শিরোনামে সরকারের মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা রাষ্ট্রীয় অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের পুরস্কার প্রদানের উদ্দেশ্যে ২০১৭ সালে শুদ্ধাচার পুরস্কার নীতিমালা প্রণয়ন করে গেজেট প্রকাশ করা হয়।
গেজেটে এ পুরস্কারের ব্যাখ্যা দিয়ে বলা হয়েছে, ‘প্রতিবছর সরকারের শুদ্ধাচার পুরস্কারপ্রাপ্তরা পুরস্কার হিসেবে একটি সনদ এবং এক মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ পাবেন।’ গেজেটে আরো উল্লেখ রয়েছে যে শুদ্ধাচার পুরস্কারের জন্য নির্বাচিতদের ১৮টি গুণাবলি থাকতে হবে। এগুলো হচ্ছে- নিজের পেশাগত জ্ঞান ও দক্ষতা থাকা, কর্মস্থলে সততার নিদর্শন স্থাপন করা, নির্ভরযোগ্যতা ও কর্তব্যনিষ্ঠা, শৃঙ্খলাবোধ, সহকর্মীদের সঙ্গে শুভ আচরণ, সেবাগ্রহীতার সঙ্গে শুভ আচরণ, প্রতিষ্ঠানের বিধিবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা, সমন্বয় ও নেতৃত্বদানের ক্ষমতা, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে পারদর্শিতা, পেশাগত স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক নিরাপত্তা সচেতনতা, ছুটি গ্রহণের প্রবণতা, উদ্ভাবনী চর্চার সক্ষমতা, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নে তৎপরতা, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার, স্বপ্র্রণোদিত তথ্য প্রকাশে আগ্রহ, উপস্থাপন দক্ষতা, ই-ফাইল ব্যবহারে অগ্রহ এবং অভিযোগ প্রতিকারে সহযোগিতা করা
5,194 total views, 1 views today