কক্সবাজারে অভাব অনটনে জেলেদের ঘরে ঘরে কান্নার রোল

কক্সবাজার প্রতিনিধি,জাফরঃ কক্সবাজারের টেকনাফের উপকূলীয় এলাকা বাহারছড়ার মানুষের প্রধান পেশা সাগরে মাছ ধরা।সরকারি ভাবে ৬৫ দিন ধরে সাগরে মাছ ধরা নিষিদ্ধ হলে এই জনপদের জেলে পরিবারগুলোতে নেমে আসে অভাব অনটন কষ্টের সংসার চালানো। সামান্য আয়ের এই মানুষগুলোর প্রতিদিন যেন কাটছে অভাব অনটনে।ছোট ছোট নৌকা নিয়ে সাগরে মাছ ধরে যে তাদের সামান্য আয়ের উৎস ছিল বর্তমানে সেটিও বন্ধ রয়েছে এবং আরো দীর্ঘ এক মাস তাদের অপেক্ষার প্রহর গুনতে হবে।

জেলেদের সাথে কথা বলে জানা যায়,কোন রকম খেয়ে না খেয়ে আইনকে সম্মান করে সাগরে যাচ্ছেনা জেলেরা।অনেক জেলে কান্নাজনিত কন্ঠে বলেন,তাদের সংসার গুলো খেয়ে না খেয়ে অভব অনটনে চলছে। এদিকে সরকার জেলেদের জন্য চাল বরাদ্দ থাকলেও মুলত জেলে পরিবার গুলোতে সদস্য সংখ্যা বেশি থাকায় এই চাউল তাদের দশ থেকে পনের দিনও বেশি যায়নি বলে জেলেরা জানান।                       

সাগরকে কেন্দ্র করে এই জনপদের সব ব্যবসা বাণিজ্য।সাগর থেকে মাছ ধরতে পারলে উপকূলের সব দোকান পাটের ব্যবসা চলে। স্থানীয় শামলাপুর বাজারের বিভিন্ন পণ্যের দোকানে প্রাণ চঞ্চলতা আসে।কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে সাগরে মাছ ধরা নিষিদ্ধ হওয়াতে এই বাজার এখন এক ধরণের মরা বললেও চলে। মানুষের মনে হাসি নেই,অভাবে সবার মনে প্রাণ চঞ্চলতা নেই।অন্যদিকে নৌকার মালিকদেরও করুণ অবস্থা।তারা নৌকাতে লক্ষ লক্ষ টাকা পূজিঁ করে কিছু টাকা আয়ের আশা করছিল। কিন্তু পুরো দুই মাস পাঁচদিন সাগরে মাছ ধরা নিষিদ্ধ হলে তাদের পরিবারেও নেমে আসে এক ধরণের কষ্ট জনিত চাপা অভাব।নৌকাতে জীবনের সব পূজিঁ দিয়ে সেই নৌকা এখন অলস ভাবে পড়ে আছে।                     

উপকূলীয় অঞ্চলের এই সব জেলেদের একটাই দাবী দীর্ঘ এই নিষিদ্ধের ব্যাপারে সরকার যেন একটু নমনীয় হয়।ইতিমধ্যে পুরো এক মাস চলে গেছে।যেখানে অভাব অনটনে এই জনপদে ঘরে ঘরে কান্নার রোল পড়েছে।জেলে পরিবার গুলোর প্রতিদিন কাটছে অভাব আর নির্মম কষ্টে।কক্সবাজারের টেকনাফ বাহারছড়ার শামলাপুর এলাকার নৌকা মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ বেলাল বলেন,দীর্ঘ সাগরে মাছ ধরা নিষিদ্ধ হওয়াতে আমাদের কষ্টের কোনো শেষ নেই। এখন সবার ঘরে ঘরে অভাব অনটন কষ্টে।তাই আমাদের প্রতি একটু নমনীয় হওয়ার জন্য সরকারের সহায়তা কামনা করছি।

 5,464 total views,  1 views today