ভোলার কৃতিসন্তান এডভোকেট ফরিদ তালুকদারকে গভীর শোক ও শ্রদ্ধায় কবি রিপন শানের স্মরণ
লালমোহন থেকে তপতী সরকারঃ ভোলার কৃতিসন্তান এডভোকেট ফরিদ তালুকদারকে নিয়ে ইউরো সমাচারের ব্যুরো চীফ রিপন শান তার ফেইস বুকে এক আবেগঘন স্ট্যাটাস দেন, সমাচার পাঠকদের জন্য তা হুবুহু তুলে ধরা হোল ।
“ভোলায় জন্ম যার শতমুখী গর্ব তার”
এডভোকেট আলহাজ্ব ফরিদ উদ্দিন আহমেদ তালুকদার ভাইয়ের জীবনের সেরা শ্লোগান এটি ।
“ভাত নয় মা সূর্য দে
লাগলে আবার রক্ত নে”
কবি ছড়াকার ফরিদ উদ্দিন আহমেদ তালুকদার ভাইয়ের লেখা সেরা কবিতা এটি ।
“ভোলা জেলা উন্নয়ন বাস্তবায়ন সংগ্রাম পরিষদ
এবং বাংলাদেশ রোদসী কৃষ্টিসংসার” দক্ষ সঙগঠক ও পৃষ্ঠপোষক ভোলার লালমোহনের কৃতিসন্তান আলহাজ্ব ফরিদ উদ্দিন তালুকদারের ভাইয়ের শ্রম ঘাম ও অর্থ বিজড়িত দুটি সামাজিক সংগঠন ।
আজকের লালমোহন রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রথম আর্থিক পৃষ্ঠপোষক ছিলেন আমার প্রাণপ্রিয় মানুষ , বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আলহাজ্ব ফরিদ উদ্দিন ভাই । যদিও লালমোহন রিপোর্টার্স ইউনিটি তার জন্মলগ্নের অনেক ইতিহাস খুব সুন্দরভাবে কখনো স্বীকার করেনা । কিন্তু সত্যতো সূর্যের মতো প্রজ্বলিত.. ।
আমার প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ রোদসী কৃষ্টিসংসার এবং লালমোহন রোদসী কৃষ্টিসংসার এর গোড়াপত্তন এবং সূচনা বিকাশ এডভোকেট ফরিদ ভাইয়ের প্রগাঢ় পৃষ্ঠপোষকতা, আন্তরিকতা ও ভালবাসায় ত্বরান্বিত হয় । আমার সম্পাদিত ‘রোদসী’ সাহিত্যপত্রিকার একটি উন্নতমানের সংখ্যা পুরোটাই ফরিদ ভাইয়ের অর্থখরচে প্রকাশিত হয় । লালমোহনে অনুষ্ঠিত রোদসীর দুটো আড়ম্বরপূর্ণ সম্মেলনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন লালমোহনের সূর্যসন্তান এডভোকেট আলহাজ্ব ফরিদ উদ্দিন আহমেদ তালুকদার । নাসরিন লঞ্চ ট্রাজেডি নিয়ে কতো আয়োজন করেছি তাঁর সাথে ।
আমার শিক্ষা জীবনের চুড়ান্ত পর্বে ফরিদ ভাই ছিলেন প্রধান অভিভাবক । আমার ঢাকার জীবনের একটি মহৎ সময় বলতে গেলে ফরিদ ভাইয়ের পরিবারের একজন সদস্য ছিলাম আমি । যে কথা আপন ভাইদের বলতে পারতাম না, সে কথা অবলীলায় শেয়ার করতাম তাঁর সাথে । মিসেস ফরিদ ভাবী এবং ফরিদ ভাইয়ের মাও ভীষণ স্নেহ করতেন আমাকে । আমার মাস্টার্স ফাইনালের রেজাল্ট যখন বের হয়, ঢাকা জজকোর্টের অফিসে ফরিদ ভাইকে পা ছুঁয়ে সালাম করতেই- সেলামি হিসেবে ফরিদ ভাইয়ের পকেট থেকে বেরিয়ে আসে তাজা পাঁচশ টাকার একটি নোট । সে নোটের সুগন্ধি আজো আমার নাকে অমলিন । একবার তার বাসায় মেহমান হিসেবে আমার মাকে পেয়ে নিজের মায়ের মতই সম্মান করেছিলেন ফরিদ ভাই ।
ফরিদ ভাই আপনার কাছে আমার অনেক ঋণ ।
অধ্যাপনা পেশাগত কাজে লালমোহন চলে আসার পর আপনার সাথে ঠিকমতো যোগাযোগ রক্ষা করতে পারিনি । আমাকে ক্ষমা করে দিয়েন ।
আমার চাচা দানবীর ইন্জিনিয়ার আনছারুল হকের মৃত্যু সংবাদ শুনে যেভাবে কেঁদেছি, আপনার মৃত্যু সংবাদে হৃদয় ও নয়ন কাঁদছে অবিরাম…
আমাদের না জানিয়ে না ফেরার দেশে কীভাবে চলে গেলেন এতো সকালে !!!
যেখানেই গেছেন, আল্লাহ যেন আপনাকে সর্বোচ্চ শান্তিতে রাখেন । আমীন ।
6,936 total views, 1 views today