গরমের ফ্যাশন…..

ফ্যাশন ডেস্ক: গরম থেকে রক্ষা করার মতো ফ্যাশনই হালে সবচেয়ে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। যেমন ধরুন- কাঠফাটা রোদ চোখ রাঙাচ্ছে। গরমের তীব্রতায় অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। আর এই সময় অতিরিক্ত গরমের কারণে শরীর থেকে ঘামও ঝরে বেশি। তবে রোদের উত্তাপ এড়িয়ে ফ্যাশনেবল তো থাকতেই হবে। তাহলে জেনে নিন কেমন হবে এ সময়ের ফ্যাশন। গরমের এই সময় হালকা রঙের পোশাক পরতে হবে। গরমের দিনে গাঢ় বা কালো রং সরাসরি সূর্যের আলো টেনে আনে। এতে গরম লাগে বেশি। অন্যদিকে হালকা রঙের পোশাক সূর্যের আলো রিফ্লেক্ট করে এবং শীতল থাকতে সাহায্য করে। আর সরাসরি রোদের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে হ্যাট অথবা ক্যাপ পরতে পারেন। ব্যাগে গরমের উপযোগী স্কার্ফ রাখতে পারেন। স্কার্ফ পরলে রোদের হাত থেকে কাঁধ ও মাথা বাঁচানো যায়।
এছাড়া ঢিলেঢালা পোশাকও গরমের জন্য বেশ আরামদায়ক। এই সময় পোশাকে যাতে ফেব্রিকের উপস্থিতি কম থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এর ফলে আপনার ভেতরে অস্বস্তি তৈরি হবে না এবং আপনার ভেতর বিরাজ করবে শীতলতা । ঢিলেঢালা এবং হালকা রঙের পোশাক স্কিনটাইট ও ভারী পোশাকের চেয়ে বেশি স্বস্তি দেবে। অযথাই ফেব্রিকের আঁটসাঁট পোশাক পরা থেকে বিরত থাকবেন। হালকা কাপড় গরম আবহাওয়ার জন্য খুবই উপকারী। কিন্তু আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে আপনি ঘেমে গেলে যেন এটা শরীরে আঁটকে না থাকে।
পোশাকের বুনন কেমন সেদিকেও লক্ষ রাখতে হবে। বুনন হালকা হলে আপনি শীতলতা অনুভব করবেন এবং জমকালো একটা ভাব নিজের মধ্যে আনতে পারবেন সহজেই। তবে ন্যাচারাল ফেব্রিক যেমন উল, অর্গানিক কটন, কটন ইত্যাদি থেকে তৈরি পোশাক নির্বাচন করতে পারেন। গরমে সুতি পোশাক পলিয়েস্টার বা রেয়নের চেয়ে তুলনামূলক বেশি স্বস্তিদায়ক। এটা ঘামকে দ্রুত শুষে নিতে সক্ষম।
গরমের দিনে অলঙ্কার পরা থেকে দূরে থাকতে হবে। কারণ অলঙ্কার আপনার পোশাককে ভারী করে তোলে। এর ফলে গরম আরো বেশি লাগার সম্ভাবনা থাকে। মনে রাখতে হবে, ভারী অলঙ্করণ শরীরে ও ত্বকে শীতলতা আনার ক্ষেত্রে বড় প্রতিবন্ধক। তবে চাইলে সামান্য কিছু গহনা পরতে পারেন হালকা ধরনের চেইন বা কানের দুল।ভারী নেকলেস বুকের সঙ্গে কাপড় আটকে রাখে। এছাড়া মেটালের অলঙ্করণ সহজেই গরম হয়ে যায়।

ইউএস/ফ্যাশন/আরএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *