অস্ট্রিয়ার করোনা পরিস্থিতির উন্নতি,প্রথম রাজ্য হিসাবে বুর্গেনল্যান্ড হলুদ-সবুজ

আপার অস্ট্রিয়া(OÖ) ব্যতীত অস্ট্রিয়ার অন্যান্য রাজ্যে করোনা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নতি

 কবির আহমেদ, ইউরোপ ডেস্কঃ অস্ট্রিয়ান জাতীয় সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছেন অস্ট্রিয়ার করোনার ট্র্যাফিক লাইট কমিশন আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাদের নিয়মিত সাপ্তাহিক বৈঠকে অস্ট্রিয়ার করোনা পরিস্থিতির উন্নতির কথা জানিয়েছেন।আজ অস্ট্রিয়ার পূর্বাঞ্চলের রাজ্য বুর্গেনল্যান্ডকে হলুদ-সবুজ জোন ঘোষিত করা হয়েছে।এর ফলে করোনার ট্র্যাফিক লাইট কমিশন করোনার চতুর্থ প্রাদুর্ভাবে প্রথম রাজ্য হিসাবে বুর্গেনল্যান্ডকে করোনার সংক্রমণ থেকে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে বলে স্বীকৃতি দিল।

বুর্গেনল্যান্ডে গত সাত দিনে প্রতি এক লাখ জনপদে করোনার সংক্রমণ শতকরা প্রায় ৩১ শতাংশ থেকে ২৪ শতাংশে উঠানামা করছে।ফলে এই রাজ্যকে করোনার সংক্রমণের অত্যন্ত কম ঝুঁকিপূর্ণ হলুদ-সবুজ জোন ঘোষণা করা হয়েছে।

করোনার ট্রাফিক লাইট কমিশন এই সপ্তাহে তিরল ও স্টায়ারমার্ক রাজ্যকে করোনার হলুদ জোনেই রেখেছেন। অর্থাৎ এই দুই রাজ্যে প্রতি এক লাখ জনপদে করোনার সংক্রমণ ২৫ থেকে ৫০ জনের মধ্যে। রাজধানী ভিয়েনা সহ বাকী ছয়টি রাজ্য করোনার কমলা জোনেই থাকছে।

আজ অস্ট্রিয়ায় নতুন করে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত হয়েছেন ২,০৪৯ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ১১ জন।রাজধানী ভিয়েনায় আজ নতুন করে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত হয়েছেন ৪৭৪ জন।

অন্যান্য রাজ্যের মধ্যে OÖ রাজ্যে ৪৫২ জন, NÖ রাজ্যে ৩৪২ জন, Steiermark রাজ্যে ২৪০ জন, Salzburg রাজ্যে ১৭০ জন, Kärnten রাজ্যে ১৫০ জন,Tirol রাজ্যে ১৩১ জন,Vorarlberg রাজ্যে ৪৭ জন এবং Burgenland রাজ্যে ৪৩ জন নতুন করে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত হয়েছেন।

অস্ট্রিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে আজ সমগ্র দেশে করোনার প্রতিষেধক টিকা দেয়া হয়েছে মাত্র ১২,৮০৮ ডোজ এবং এই পর্যন্ত মোট টিকার দেয়ার পরিমাণ ১,০৮,৩১,১৮৪ ডোজ। অস্ট্রিয়ায় এই পর্যন্ত করোনার প্রতিষেধক টিকার সম্পূর্ণ ডোজ গ্রহণ করেছেন মোট ৫৪ লাখ ১০ হাজার ৮৪৯ জন, যা দেশের মোট জনসংখ্যার শতকরা ৬০,৬ শতাংশ।

অস্ট্রিয়ায় এই পর্যন্ত করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭,৪৩,০৯৫ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ১১,০০৯ জন।করোনার থেকে এই পর্যন্ত আরোগ্য লাভ করেছেন মোট ৭,১১,৮৪৪ জন। বর্তমানে করোনার সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২০,২৪২ জন। এর মধ্যে ক্রিটিক্যাল অবস্থার মধ্যে আইসিইউতে আছেন ২২০ জন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৮৫১ জন। বাকীরা নিজ নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন।

 

 14,626 total views,  1 views today