অস্ট্রিয়ায় তুর্কী মহিলার করোনায় মৃত্যুর পর আত্মীয় স্বজনদের হাসপাতালে ভাঙ্গচুর

Oberösterreich রাজ্যের Kirchdorf পৌরসভার হাসপাতালের আইসিইউতে ৬৭ বছর বয়স্কা তুর্কী মহিলার মৃত্যুর পর দুঃখ আর ক্ষোভে আত্মীয়স্বজন এই তান্ডব চালায়।
কবির আহমেদ, ইউরোপ ডেস্কঃ অস্ট্রিয়ার জার্মানি ও চেক প্রজাতন্ত্রের সীমান্তবর্তী প্রাদেশিক রাজ্য আপার অস্ট্রিয়া(OÖ) রাজ্যের Steyr জেলার Kirchdorf পৌরসভার Kirchdorf হাসপাতালে গতকাল শনিবার এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন এই রাজ্যের জনপ্রিয় দৈনিক পত্রিকা Oberösterreich Nachrichten(OÖN)।
পত্রিকাটি আজ জানায় Kirchdorf পৌরসভার ৬৭ বছর বয়স্কা উক্ত মহিলা করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর সংবাদে ক্ষুব্ধ আত্মীয়স্বজন হাসপাতালের কর্মীদের উপর আক্রমণ চালায়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদ্ধৃতি দিয়ে পত্রিকাটি আরও জানায়,করোনায় আক্রান্ত ৬৭ বছর বয়স্কা উক্ত তুর্কী বৃদ্ধার অবস্থা শেষ মুহূর্তে পৌঁছালে হাসপাতাল থেকে আত্মীয়স্বজনদের গতকাল শনিবার সকালে খবর দেয়া হয়, যাতে তারা শেষ বারের মত বৃদ্ধাকে একবার দেখে চির বিদায় জানাতে পারে। তারা মুমূর্ষ অবস্থায় উক্ত বৃদ্ধাকে অন্য কোন হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার জন্য চাপ প্রয়োগ ও তুর্কী কনস্যুলেট সার্ভিসের সাহায্যও চেয়ে দৌড়াদৌড়ি করতে থাকে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আরও জানান,হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রোগীর অবস্থা গুরুতর হওয়ার কারণে মুমূর্ষ আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রোগীকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর সিনিয়র চিকিত্সক দ্বারা অনুমোদিত হয়নি। কিছুক্ষণ পরেই উক্ত মহিলার মৃত্যু হয়। মৃত বৃদ্ধার এগারোজন আত্মীয়স্বজন হাসপাতালে জড়ো হয়েছিল। মহিলার মৃত্যুর সংবাদের সাথে সাথে তার দ্রুত ক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে। তারা মুহূর্তের মধ্যেই “বন্যভাবে অঙ্গভঙ্গি করতে শুরু করে এবং হাসপাতালের কর্মীদের উপর আক্রমণ করে।
মৃতার আত্মীয়স্বজনের আক্রমণে উক্ত হাসপাতালের ৫৯ বছর বয়স্ক একজন সিনিয়র চিকিৎসক সহ আরও দুইজন কর্মচারী আহত হয়েছে বলে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় পুলিশ জানিয়েছে। হাসপাতালের বেশ কিছু জিনিসপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে এবং হাসপাতালের অন্যান্য কর্মচারীদের হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় এবং ক্লিনিক জড়িত ব্যক্তিদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তবে পুলিশ কোন মামলা দায়ের করে নি।
অস্ট্রিয়ার বিভিন্ন ফেডারেল রাজ্যের মধ্যে বর্তমান চলমান চতুর্থ করোনার ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই রাজ্য্যটি। তাছাড়াও অন্যান্য রাজ্যের চেয়ে এখানে করোনার প্রতিষেধক টিকার গ্রহণের সংখ্যাও অনেক কম। এই রাজ্যে ইতিমধ্যেই করোনার সুপার ভাইরাস ওমিক্রোন ভাইরাসের আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে।
14,801 total views, 1 views today