ওমিক্রোনের জন্য সমগ্র অস্ট্রিয়া করোনার লাল জোনে!

অস্ট্রিয়ার করোনার ট্র্যাফিক লাইট কমিশন সমগ্র অস্ট্রিয়াকে পুনরায় করোনার অতি ঝুঁকিপূর্ণ লাল জোন ঘোষণা করেছে।
কবির আহমেদ, ইউরোপ ডেস্কঃ অস্ট্রিয়ান সংবাদ সংস্থা এপিএ জানিয়েছে,অস্ট্রিয়ার করোনার ট্র্যাফিক লাইট কমিশন তাদের নিয়মিত সাপ্তাহিক বৈঠকে সমগ্র দেশে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রোনের ব্যাপক বিস্তার লাভ করায় সমগ্র অস্ট্রিয়াকে পুনরায় করোনার অতি ঝুঁকিপূর্ণ লাল জোন ঘোষণা করেছে।
ইউরোপীয় মেডিকেল এজেন্সির নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতি এক লাখ জনপদে ১০০ জন করোনায় আক্রান্ত হলে সে জনপদ করোনার অতি ঝুঁকিপূর্ণ লাল জোন হিসাবে চিহ্নিত হবে। সে হিসাবে বর্তমানে অস্ট্রিয়ার প্রতিটি রাজ্যেই সংক্রমণ ১০০ জনের উপরে।
অস্ট্রিয়ার করোনার ট্র্যাফিক লাইট কমিশনের তথ্য অনুযায়ী অস্ট্রিয়ার সবচেয়ে ভাল রাজ্য হিসাবে খ্যাত Burgenland রাজ্যে বর্তমানে প্রতি এক লাখ জনপদে করোনায় আক্রান্ত ২১৪ জন। কমিশনের তথ্য অনুযায়ী সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে অস্ট্রিয়ার Tirol রাজ্য।এই রাজ্যে বর্তমানে প্রতি এক লাখ জনপদে করোনায় আক্রান্ত ১,৭১৬ জন। গত সপ্তাহের তুলনায় এই রাজ্যের সংক্রমণের বিস্তার বৃদ্ধি প্রায় চারগুণ বেশী।এরপর অস্ট্রিয়ার Salzburg রাজ্যে ১,৩০০ জন।অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনাতেও প্রতি এক লাখ জনপদে করোনার সংক্রমণ প্রায় ৩০০ জন।
এদিকে অস্ট্রিয়ায় আজ নতুন করে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত হয়েছেন ১৫,৮৫২ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ১৬ জন।রাজধানী ভিয়েনায় আজ নতুন করে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত হয়েছেন ৪,৫৬৬ জন।
অন্যান্য ফেডারেল রাজ্যের মধ্যে NÖ রাজ্যে ২,৩৫৪ জন, OÖ রাজ্যে ২,১৬১ জন,Tirol রাজ্যে ১,৮৪৫ জন, Salzburg রাজ্যে ১,৭৩৬ জন, Steiermark রাজ্যে ১,৬২৬ জন, Kärnten রাজ্যে ৭১১ জন, Vorarlberg রাজ্যে ৫৫৭ জন এবং Burgenland রাজ্যে ২৯৬ জন নতুন করে সংক্রমিত শনাক্ত হয়েছেন।
অস্ট্রিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী আজ সমগ্র অস্ট্রিয়াতে করোনার প্রতিষেধক টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন মোট ৪,৮৬৬ জন এবং করোনার বুস্টার ডোজ গ্রহণ করেছেন ৩৬,৪০০ জন।অস্ট্রিয়ায় এই পর্যন্ত করোনার প্রতিষেধক টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ৬৩,৬৪,৩৫৬ জন,যা দেশের মোট জনসংখ্যার শতকরা ৭১,৩ শতাংশ।
অস্ট্রিয়ায় এই পর্যন্ত করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৩,৯৪,৫৯৯ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ১৩,৮৯৮ জন। করোনার থেকে এই পর্যন্ত আরোগ্য লাভ করেছেন মোট ১২,৭৩,৮৮৪ জন। এর মধ্যে আইসিইউতে আছেন ২৩৬ জন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৮৮৯ জন।বাকীরা নিজ নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন।
14,701 total views, 1 views today