প্রশাসনিক জটিলতার কারণে এক সপ্তাহ পিছালো অস্ট্রিয়ার বাধ্যতামূলক করোনার টিকাদানের আইন

অস্ট্রিয়ান সরকার ইতিপূর্বে ঘোষণা করেছিল যে, অস্ট্রিয়ায় ১ ফেব্রুয়ারী হতে ১৮ বছর বয়স থেকে সকলের জন্য করোনার প্রতিষেধক টিকা  বাধ্যতামূলক।

কবির আহমেদ, ইউরোপ ডেস্কঃ অস্ট্রিয়ায় করোনার প্রতিষেধক টিকার বাধ্যতামূলক  আইন এখন ১ ফেব্রুয়ারী থেকে প্রায় এক সপ্তাহ বর্ধিত করা হয়েছে। সরকার প্রথম বলেছিল ১ ফেব্রুয়ারী থেকে অস্ট্রিয়ায় ১৮ বছরের উপরে সকলের জন্য করোনার প্রতিষেধক টিকা গ্রহণ বাধ্যতামূলক এবং আগামী ১৫ মার্চের পর থেকে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে অর্থ জরিমানার কথাও বলা হয়েছে।

অস্ট্রিয়ার জনপ্রিয় দৈনিক পত্রিকা Kronen Zeitung জানিয়েছে,কিছুটা প্রশাসনিক জটিলতার কারণে অস্ট্রিয়ার বাধ্যতামূলক টিকা গ্রহণের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারী থেকে ৮ ফেব্রুয়ারী করা হয়েছে। করোনার প্রতিষেধক টিকার বাধ্যতামূলক আইনটি আগামী ৩ ফেব্রুয়ারী অস্ট্রিয়ার জাতীয় সংসদের অনুমোদন হওয়ার কথা রয়েছে। তারপর আইনটি অস্ট্রিয়ার ফেডারেল রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের জন্য অস্ট্রিয়ার রাস্ট্রপতির ভবন “হোফবুর্গ” এ পাঠানো হবে।

পত্রিকাটি আরও জানায়,এমনও হতে পারে আগামী বৃহস্পতিবার নতুন আইন ঘোষণা করা হলে শুক্রবার থেকে তা কার্যকর হবে। তবে অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন সম্ভবত আগামী সপ্তাহের আগে এই আইন কার্যকর করা সম্ভব হবে না।

অস্ট্রিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বলা হয়েছে,অস্ট্রিয়ার জাতীয় ফেডারেল সংসদীয় পদ্ধতি, ফেডারেল রাষ্ট্রপতি এবং ফেডারেল চ্যান্সেলরের স্বাক্ষরগুলি ফেব্রুয়ারী মাসের শুরুতে অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।  পাস করা কোভিড-১৯ বাধ্যতামূলক টিকাদান আইন তারপর ফেডারেল ল গেজেটে প্রকাশিত হবে এবং বলবৎ হবে। তাই প্রশাসনিক জটিলতার জন্য বাধ্যতামূলক করোনার প্রতিষেধক টিকার আইনটি সপ্তাহ খানেক বিলম্বিত হতে পারে।

 

ইতিমধ্যেই রিপোর্ট করা হয়েছে যে, ১ ফেব্রুয়ারী থেকে অস্ট্রিয়ায় কয়েক লক্ষাধিক টিকা নেওয়া মানুষ তাদের গ্রিন পাসপোর্টের (করোনার গ্রিন পাস) বৈধতা হারাবে।

উল্লেখ্য যে,অস্ট্রিয়ায় করোনার দ্বিতীয় প্রতিষেধক টিকা গ্রহণের পর ইইউর মেডিকেল এজেন্সির নির্দেশনা অনুযায়ী QR কোড সহ এই গ্রিন পাস প্রবর্তন করা হয়। প্রথমে এটির মেয়াদ এক বছর, তারপর নয় মাস করা হয়েছিল। বর্তমান নতুন আইনে এর মেয়াদ ৬ মাস করা হয়েছে।

নতুন ৬ মাসের বৈধতার মেয়াদের ফলে গতকাল সোমবার পর্যন্ত অস্ট্রিয়ায় প্রায় ২,৩৫,২৪৫ জনের গ্রিন পাসের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে।

 14,956 total views,  1 views today