অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনা ও কয়েকটি প্রধান শহরের আজকের ইফতার ও আগামীকালের সেহরির শেষ সময়

 কবির আহমেদ, ইউরোপ ডেস্কঃ আজ শনিবার ১৬ এপ্রিল অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় ১৫ তম রোজার ইফতারের সময় : ১৯:৪৬ মিনিট। (Ifter in Vienna at 19:46 p.m)

আগামীকাল রবিবার ১৭ এপ্রিল ভিয়েনায় ১৬ তম রোজার সেহরির শেষ সময় : রাত ৪:২৬ মিনিট।

ভিয়েনার সাথে অস্ট্রিয়ার অন্যান্য কয়েকটি ফেডারেল রাজ্যের প্রধান শহরের সময়ের পার্থক্য নিম্নে উল্লেখ করা হল,

* Innsbruck (Tirol) + 20 Min.

* Salzburg + 13 Min.

* Villach (Kärnten) + 10 Min.

* Linz (OÖ) + 08 Min.

*Klagenfurt (Kärnten) + 08 Min.

* Graz (Steiermark) + 4 Min.

* St. Pölten (NÖ) + 3 Min

আয়াতুল কুরসি কি ? আয়াতুল কুরসি পাঠের ফজিলত বা উপকারিতা কি ?

আল কোরআনের শ্রেষ্ঠ আয়াত সূরা আল বাক্বারার ২৫৫ নাম্বার আয়াত।এই আয়াতটিকে আবার সংক্ষেপে আয়াতুল কুরসি বলেও সম্বোধন করা হয়।

“আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই। তিনি চিরঞ্জীব, সর্বসত্তার ধারক। তাকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না। আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্ত তারই। কে সে, যে তার অনুমতি ব্যতীত তার নিকট সুপারিশ করবে? তাদের সম্মুখে ও পশ্চাদে যা কিছু তা তিনি জানেন। যা তিনি ইচ্ছা করেন তা ছাড়া তার জ্ঞানের কিছুই তারা আয়ত্ব করতে পারে না। ‘তার কুরসি’ আকাশ ও পৃথিবীময় পরিব্যপ্ত। এদের রক্ষণাবেক্ষণ তাকে ক্লান্ত করে না। তিনি মহান, তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ।” [ সূরা আল বাক্বারাহ, আয়াত:২৫৫]

কোরআন মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর কিতাব। এতে রয়েছে ১১৪ টি সুরা ও ৬৬৬৬ আয়াত। প্রত্যেকটি আয়াতই আলাদা আলাদা ফজিলত বহন করে। প্রয়োজনের তাগিদে বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে নাজিল হয়েছে এ আয়াতগুলো। এর কোনোটির তেলাওয়াতে কঠিন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আবার কোনোটির নিয়মিত আমলে মিলে অসীম নেয়ামতের স্থান জান্নাত।

এখন প্রশ্ন জাগতে পারে যে, কুরআনের সর্বশ্রেষ্ঠ আয়াত কোনটি? কোনটির আমল নিয়মিত করলে শ্রেষ্ঠ নেয়ামত লাভ করা যাবে। হ্যাঁ এ ব্যাপারে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। তিনি বর্ণনা করেছেন কোন আয়াতগুলি সর্বশ্রেষ্ঠ এবং এই আয়াতগুলো পাঠে কি ধরনের নেয়ামত অর্জন করবে আল্লাহর বান্দা।

ফজিলত ও নেয়ামতে ভরপুর সর্বশ্রেষ্ঠ আয়াত হলো আয়াতুল কুরসি। কোরআনের সর্ববৃহৎ ও দ্বিতীয় সূরা ‘সূরা আল-বাক্বারা’র ২৫৫ নম্বর আয়াত। আয়াতটিতে মহাবিশ্বের উপর আল্লাহর ক্ষমতার কথা বর্ণিত হয়েছে।

হজরত আবু জর জুনদুব রাদিয়াল্লাহু আনহু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার প্রতি নাজিলকৃত সবচেয়ে মর্যাদাসম্পন্ন আয়াত কোনটি? তিনি বলে, আয়াতুল কুরসি। (নাসাঈ)

এ আয়াতটি ‘আয়াতুল কুরসি’ নামেই সব মুসলিমের কাছে পরিচিত। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না এর ফজিলত কি? এ আয়াত পাঠে কেমন সওয়াব হয়। আসুন জেনে নেই আয়াতটির গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত-হজরত আবু উমামা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজ শেষে আয়াতুল কুরসি পড়ে, তার জান্নাতে প্রবেশ করতে মৃত্যু ছাড়া আর কোনো বাধা থাকে না। (নাসাঈ)>> হজরত আলী  রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি নিয়মিত পড়ে, তার জান্নাতে প্রবেশে কেবল মৃত্যুই অন্তরায় থাকে। যে ব্যক্তি এ আয়াতটি শোয়ার আগে পড়বে আল্লাহ তার ঘর, প্রতিবেশীর ঘর এবং আশপাশের সব ঘরে শান্তি বজায় রাখবেন। (বায়হাকি)

হজরত উবাই বিন কাব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উবাই বিন কাবকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, তোমার কাছে কোরআন মাজিদের কোন আয়াতটি সর্বশ্রেষ্ঠ? তিনি বলেছিলেন, (আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লাহু আল্ হাইয়্যুল কাইয়্যুম) তারপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজ হাত তার বুকে রেখে বলেন, আবুল মুনযির! এই ইলমের কারণে তোমাকে ধন্যবাদ। (মুসলিম)

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, সুরা বাকারায় একটি শ্রেষ্ঠ আয়াত রয়েছে, সেটি হলো আয়াতুল কুরসি। যে ঘরে এটি পাঠ করা হবে সেখান থেকে শয়তান পালাতে থাকে।

আয়াতুল কুরসির শানে নুযূল বা অবতীর্ণের প্রেক্ষাপট: বনী ইসরাঈলদের অনুরোধে একদা হজরত মুসা (আ.) ফেরেশতাদের প্রশ্ন করেন, আল্লাহ তায়ালা কি কখনো নিদ্রা যান? অতঃপর আল্লাহ তায়ালা ফেরেশতাদের মাধ্যমে হজরত মূসা (আ.)- কে একাধারে তিন দিন নিদ্রা না যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। ফেরেশতারা তাই করেন। অতঃপর পরবর্তী রাত্রে হজরত মূসা (আ.) এর দু’হাতে দু’টি বোতল দিয়ে বলা হয়, এ বোতল দু’টিকে দু’হাতে ধরে রাখুন। তিনি তা-ই করলেন। রাত্রি যতই গভীর হতে থাকে ততই তিনি নিদ্রাচ্ছান্ন হয়ে পড়েন। শত চেষ্টা করেও নিদ্রার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে পারছিলেন না। অবশেষে তিনি নিদ্রামগ্ন হয়ে পড়েন। ফলে বোতল দু’টি হাত হতে পড়ে ভেঙ্গে যায়। তখন ফেরেশতারা বলেন, হে মূসা (আ.)! নিদ্রার প্রভাবে দু’টি বোতলকে আপনি ঠিক রাখতে পারলেন না। আল্লাহ তায়ালা যদি নিদ্রা যান তাহলে এ বিশাল বিশ্বকে কিভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করেন? সে ঘটনার প্রতি ইঙ্গিত করে আল্লাহ তায়ালা অত্র আয়াতে উম্মতে মুহাম্মদীর প্রতি আল্লাহর গুণাবলি ও বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করেছেন।আর এর জন্যই এই আয়াতটি পবিত্র আল কোরআনের সর্বশ্রেষ্ঠ আয়াত হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

 14,583 total views,  1 views today