উত্তর কোরিয়ার স্বৈরশাসক কিম কি মারা গেছেন ? আবার অনেকে বলছেন কোমায় আছেন !

অন লাইন ডেস্ক থেকে, কবির আহমেদঃ দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে অবস্থিত একটি ওয়েবসাইট এই সপ্তাহের শুরুর দিকে জানিয়েছিল যে, হৃদরোগ সংক্রান্ত সমস্যার জন্য কিমকে অপারেশন করা হয়েছিল। সিএনএন, নিউজ চ্যানেল, মার্কিন সরকারের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ওয়াশিংটন গোয়েন্দা তথ্যের অনুসারে অপারেশনের পরে কিমের শারিরীক অবস্থার চরম অবনতি ঘটে বা কোমায় আছেন। অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে যে কিম বেঁচে আছেন এবং খুব শীঘ্রই আবার দেখতে পারবেন।
উত্তর কোরিয়ার শাসক মারা গেছেন বলে হংকংয়ের উপগ্রহ টেলিভিশনের ভাইস ডিরেক্টর মৃত্যুর খবর দিয়েছিলেন এবং তিনি এই খবর উত্তর কোরিয়ার একটি বিশ্বস্ত সূত্রের মাধ্যমে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন। এই খবরটি দ্রুতই চীনের হোয়াটসঅ্যাপ সংস্করণ ওয়েইবোতে ছড়িয়ে পড়ে এবং আন্তর্জাতিক বিজনেস টাইমসের অনলাইনেও প্রকাশিত হয়েছে। অন্যান্য অসমর্থিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে তার কার্ডিয়াক সার্জারি ব্যর্থ হয়েছে কারণ অপারেশনের সময় সার্জন খুবই নার্ভাস ছিলেন। এ দিকে আবার জাপানি মিডিয়া বলছেন মিস্টার কিম অপারেশনের পর বর্তমানে কোমায় চলে গেছেন। উত্তর কোরিয়া এখনও পর্যন্ত আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় কিমের সংবাদ পরিবেশিত হওয়ার পর কোন মন্তব্য করে নি। ১৯৯৪ সালে মারা যাওয়া উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল-সংগের তাঁর দাদার জন্মদিন উদযাপনের জন্য ১৫ ই এপ্রিল কিম আশ্চর্যজনকভাবে একটি traditional ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানে অংশ নেননি। চীন উত্তর কোরিয়ার শাসকদের কাছে ডাক্তার পাঠিয়েছে বলে জানা গেছে।উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং-উনের স্বাস্থ্যের অবস্থা নিয়ে গুজবের মধ্যে চীন প্রতিবেশী দেশটিতে সরকারী কর্মকর্তা এবং চিকিত্সা পেশাদারদের একটি প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে। পরিস্থিতি সম্পর্কে পরিচিত বেশিরভাগ লোক শনিবার রয়টার্সকে জানিয়েছেন, চীনা কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক লিয়াজোঁ বিভাগের সিনিয়র সদস্যের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি বৃহস্পতিবার বেইজিং ত্যাগ করেছে। বিভাগটি হ’ল প্রতিবেশী উত্তর কোরিয়ার সাথে কাজ করা প্রধান চীনা সংস্থা। প্রাথমিকভাবে বেইজিংয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা যোগাযোগ বিভাগের কাছেই মতামতের জন্য যোগাযোগ করা যায়নি।
4,744 total views, 1 views today