অস্ট্রিয়া করোনার দ্বিতীয় প্রাদুর্ভাবের মধ্যে প্রবেশ করেছে! -ভাইরোলজিস্ট ক্রিস্টোফ স্টাইনিঞ্জার

 অন লাইন ডেস্ক থেকে,কবির আহমেদঃ অস্ট্রিয়ার জনপ্রিয় অনলাইন পোর্টাল Oeb24 এর সাথে এক সাক্ষাত্কারে অস্ট্রিয়ার অন্যতম সংক্রমণ রোগ বিশেষজ্ঞ ভাইরোলজিস্ট ক্রিস্টোফ স্টাইনিজ্ঞার বলেন বর্তমানে আমরা করোনার দ্বিতীয় আক্রমণের মধ্যে প্রবেশ করেছি। এখন আমাদের এখানে সংক্রমণ ক্রমশঃ বাড়তে থাকবে ঠিক মার্চ মাসের মতো। সংক্রমণ রোগ বিশেষজ্ঞের মতে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে আমাদের আবারও পূর্বের মতো কিছু জরুরী পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি আরও বলেন সম্পূর্ণ লক ডাউন ছাড়াও পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। যেহেতু এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি চলছে তাই এখন আমাদের নিয়ন্ত্রণ করতে কিছুটা সহজ হবে। জনগণকে পূর্বের মতো সচেতন করতে হবে এবং দ্রুত পরীক্ষার মাধ্যমে আক্রান্তদের সনাক্ত করে পৃথক করা হলে সংক্রমণ কমে আসবে।                                

এদিকে অস্ট্রিয়ার প্রধান বিরোধী দল সোস্যালিস্ট পার্টি অস্ট্রিয়ার প্রধান ডাঃ পামেলা রেন্ডী ভাগনার সরকারকে পুনরায় নাক ও মুখ বন্ধনি অর্থাত্ মাস্ক ব্যবহার করার বাধ্যবাধকতার আইন জারি করার আহবান জানিয়েছেন। আজ থেকে অস্ট্রিয়ার প্রদেশ আপার অস্ট্রিয়ায় (Oberösterreich) পুনরায় মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই প্রদেশের গভর্নর থমাস স্টেলজার সোমবার সন্ধ্যায় এক টুইটের মাধ্যমে বর্তমান পরিস্থিতি যাতে আরও জটিল হতে না পারে তার জন্য অস্ট্রিয়ান সেনাবাহিনীর সর্বাত্মক সহযোগিতা চেয়েছেন। গভর্নর রাজ্য ফান্ড থেকে করোনার দ্রুত টেস্ট আরও তরান্মিত করার জন্য ১০ মিলিয়ন ইউরোর একটি জরুরী ভিত্তিতে অর্থ বরাদ্দের ঘোষণা দিয়েছেন।                                                  

তিনি আরও জানান ছোট এই রাজ্যে গত ২৪ ঘন্টায় করোনা সন্দেহে ইমারজেন্সি হট লাইনে প্রায় হাজার খানেক ফোন এসেছে। অন্য এক প্রেস ব্রিফিংয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রধান ক্রিস্টিন হবারল্যান্ডার বলেন করোনায় ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে করোনা টেস্টের কেন্দ্র বাড়ানো হয়েছে। তিনি জানান প্রতি ৩০ মিনিটের গাড়ির রাস্তায় যাতে একটি করে করোনা পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপন করা যায়,আমরা সেই চেষ্টা করছি। এই ব্যাপারে রেড ক্রস Oberösterreich এর মাধ্যমে আরো ১৬ টি অতিরিক্ত পরীক্ষা কেন্দ্র খোলা হয়েছে।                   

অস্ট্রিয়ায় গত দুই দিন যাবৎ করোনায় কেহ মৃত্যু বরণ করেন নি। এই পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৮,৪২১ জন এবং মৃত্যু বরণ করেছেন ৭০৬ জন। এই পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৬,৬৮৬ জন। বর্তমানে করোনার সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১,০২৯ জন। এর মধ্যে আইসিইউ-তে আছেন ১০ জন, হাসপাতালে চিকিত্সাধীন অবস্থায় আছেন ৭৮ জন।

 6,275 total views,  1 views today