উপকূলীয় জেলা ভোলাতে কৃষকের আখ চাষে সাফল্য

 সাব্বির আলম বাবু,সমাচার প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশের দক্ষিনাঞ্চলের অন্যান্য উপকূলীয় জেলার মতো ভোলা জেলার প্রত্যন্ত এলাকা ও চরাঞ্চলে আখের চাষাবাদ প্রতি বছরই মৌসুম এলে কম বেশী হয়। তবে এ  সকল এলাকায় কৃষকের আখ চাষের আগ্রহের অন্যতম প্রধান কারন হচ্ছে এখানে পতিত জমি ও বন্যাকবলিত জমিতেও নির্বিঘ্নে এই ফসল ফলানো যায়। সে কারনেই আবাদযোগ্য জমির সর্বোত্তম ব্যবহারের জন্য ও সার্বিক উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রচলিত ফসল বিন্যাসের সঙ্গে আখ আবাদ সমন্বয়ের মাধ্যমে উপকূলীয় অঞ্চলে অধিক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে এই কার্যক্রম পরিচালনা করা দরকার।          

তথ্যানুসন্ধানে দেখা যায়, আখ এমন একটি ফসল যা পতিত জমিসহ যেকোন জমিতে ভালো ফলন দেয় এবং চাষীকে খরা, বন্যা বা জলাবদ্ধতা দ্বারা ফসলহানীর আশংকা থেকে চাষীকে নিশ্চিত ভাবে দূর করে। বিশেষ করে বিভিন্ন ফসলের আবাদ করে চাষীরা যখন বন্যা বা অন্যান্য প্রাকৃতিক দূর্যোগের সমস্যার কারনে ফসল ঘরে তুলতে পারেনা সেখানে আখ বন্যা সহিষ্ণু এবং তৃণজাতীয় উদ্ভিদ ও প্রায় ১২-১৫ ফুট লম্বা হওয়ায় এ সকল নৈমিত্তিক প্রাকৃতিক সমস্যা মোকাবেলা করতে সক্ষম।                           

চাষীদের সাথে আলাপকালে জানা যায়, সাধারনত নভেম্বর -ডিসেম্বর মাস আখ চাষের মৌসুম। এসময় চারা রোপন করা হয় এবং অক্টোবরে পরিপক্ক আখ কাটা হয়। অাখের ফলন পেতে ২৮০-২৯০ দিন লাগে। চাষীরা বিভিন্ন জাতের আখ করেন তার মধ্যে কেবল গুড় তৈরীর জন্য (আইএসডি) ঈশ্বরদী ১২, ১৪,১৬,২০ এবং চিবিয়ে খাওয়ার জন্য, বাঁশপাতা, গেন্ডারী ও ২০৮ সহ প্রায় ১৬ জাতের আখ চাষ হয়। এসব আখ প্রতিটি ১৫-২০ টাকা বিক্রি হয়। আখ চাষে বিঘা প্রতি ২০-২৫ হাজার টাকা খরচ হয় আর আয় হয় প্রায় ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা।          

আখের প্রধান শত্রু শিয়াল ও সামান্য কিছু রোগ বালাই যেমন- মাঝরা পোকা, কান্ডপচা, লালচে রেখা ইত্যাদি যদি সঠিক সময়ে সঠিক নিয়মে ঔষধ প্রয়োগের মাধ্যমে রোধ করা যায় এবং সরকারী কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের আখ উৎপাদন বিষয়ক প্রয়োজনীয় তথ্য ও প্রশিক্ষণ প্রদান করা যায় তাহলে তাহলে আখের ফলন আরো বাড়ার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখবে ও বেকারদের কর্ম-সংস্থানের সৃষ্টি হবে।

 6,118 total views,  1 views today