অস্ট্রিয়ায় ৩৮ জন অবৈধ অভিবাসীসহ তুর্কী পণ্যবাহী লরী চালক গ্রেফতার !

 অন লাইন ডেস্ক থেকে,কবির আহমেদঃ আজ অস্ট্রিয়ার Niederösterreich রাজ্যের Bruch an der Leitha জেলায় পুলিশ একটি রেফ্রিজারেটেড যুক্ত পণ্যবহণকারী লরী থেকে সিরিয়া, ইরাক ও তুরস্কের মোট ৩৮ জনকে শরণার্থীকে উদ্ধার করেছেন। প্রচন্ড ঠান্ডার কারনে তাদের অধিকাংশই অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। পুলিশ গাড়ির চালক ৫১ বৎসর বয়স্ক তুর্কি নাগরিক যার নাম লেইথা তাকে মানব পাচারকারী হিসাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে শরণার্থীদের মধ্যে কেহ মারা যায় নি। অধিকাংশ শরণার্থী অক্সিজেনের অভাবে শ্বাসকষ্ট ও মৃত্যুর আশঙ্কায় ছিলেন।

অভিবাসীদের একজন পুলিশকে জানান,তারা অস্ট্রিয়া পৌঁছে দিতে দালালদের জনপ্রতি €৬,০০০ থেকে €৮,০০০ ইউরো প্রদান করেছেন। লোয়ার অস্ট্রিয়া আঞ্চলিক অপরাধমূলক পুলিশ অফিসের জনৈক তদন্ত কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা এপিএ কে বলেন,পণ্যবাহী পরিবহনটি হাঙ্গেরি হয়ে রোমানিয়া থেকে অস্ট্রিয়া পৌঁছেছিল। জব্দ করা আর্টিকুলেটেড যানবাহনের তল্লাশির সময়, কর্মকর্তারা রেফ্রিজারেটেড লরীর পিছনের অংশে গাড়ির ফ্লোরে একটি ফাঁদ দরজা বা একটি হ্যাচ কাটা দেখতে পেলে সন্দেহ হয়।

শরণার্থীদের সামনের দিকে কাগজের পিচবোর্ড রোল ছিল। এগুলি একে অপরের উপরে এমনভাবে স্ট্যাক করা ছিল যে পিছনের লেজ লিফ্টটি খুললে ট্রেলারটির অভ্যন্তরের দৃশ্যটি অবরুদ্ধ করা হয়েছিল। লোডিং এরিয়াতে কাগজ কার্ডবোর্ডের অসংখ্য রোলও ছিল যা নিরাপদ ছিল না। লরীর ফ্রিজের শরীরে বায়ুচলাচলের কোনও সম্ভাবনা পাওয়া যায়নি। পুলিশ জানায়, ট্রাকটির ট্যাচোগ্রাফটি চালিত হয়েছিল। অফিসাররা গাড়িতে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত সরঞ্জাম পেয়েছেন। বহনকারী শিপিং ডকুমেন্টগুলি ছিল জালিয়াতি।

শরণার্থীরা আরও জানায়,তারা তুরস্ক থেকে বিভিন্ন রুটে রোমানিয়ায় এসেছিল। সেখানে তারা দীর্ঘকাল একটি ধ্বংসস্তূপের মতো বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। সেখানে প্রায় দেড় শতাধিক লোক ছিল। তারা হাঙ্গেরির সীমান্তের নিকটবর্তী একটি জঙ্গল থেকে এই লরীতে উঠেছিল বলে জানিয়েছেন। তাদের মধ্যে ৬ জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশু সহ মোট ৪৩ জন যাত্রী ছিলেন। পথিমধ্যে যাত্রা বিরতির সময় ৫ জন পালিয়ে যায়। আটক তুর্কি চালক রোমানিয়ায় বসবাস করেন বলে জানা গেছে।

আজ অস্ট্রিয়া করোনায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৭৬৮ জন এবং ১ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। রাজধানী ভিয়েনায় আজ পজিটিভ সনাক্ত হয়েছেন ৩১৯ জন। সমগ্র অস্ট্রিয়ায় এই পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫,০৭৩ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ৭৫৮ জন। করোনার থেকে আরোগ্য লাভ করেছেন ২৭,৬৫৫ জন। বর্তমানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৬,৬৬০ জন। এর মধ্যে আইসিইউতে আছেন ৫৪ জন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৩২১ জন। বাকীরা নিজ নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন।

 8,340 total views,  1 views today