ভোলার, লালমোহন পৌরসভার বিপুল ভোটে বিজয়ী মেয়র হাজী এমদাদুল ইসলাম তুহিন এর উদারতার নতুন নজির স্থাপন ।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ১৪ অক্টোবর ২০১৯ লালমোহন উপজেলায় স্মরণকালের একটি সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার পর- লালমোহনের রাজনৈতিক সংস্কৃতির ইতিহাসে দেখা দিয়েছে পালাবদলের হাওয়া ।যে দেশে একদল চেয়ার পাওয়ার পরে আরেকদল গোষ্ঠীসুদ্ধ এলাকা ছাড়তে হতো- সে দেশে রচিত হলো রাজনীতির নতুন ইতিহাস । দ্বিতীয় বারের মতো নতুন মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পরপরই বিপুল ভোটে বিজয়ী হাজী এমদাদুল ইসলাম তুহিন সহোদর অনুজ লালমোহন উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম রিপন সহ মিষ্টি নিয়ে ছুটে গেলেন বিজিত বিএনপি প্রার্থী সাংবাদিক সোহেল আজিজ শাহীনের বাসভবনে । সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির সে এক অনবদ্য ক্ষণ ।এসময় দুই নেতা পরস্পর পরস্পরকে জড়িয়ে ধরেন । লালমোহন পৌরসভার অকালপ্রয়াত সাবেক মেয়র এনায়েত কবীর পাটোয়ারীর একমাত্র সন্তান- ঢাকাস্থ লালমোহন ছাত্র-ছাত্রী সমিতির সাবেক সভাপতি বাহালুল কবীর শাকিল এসময় উপস্থিত ছিল । আরো উপস্থিত ছিলেন লালমোহন পৌরসভা ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি হারুনুর রশিদ মাস্টার ।

আমাদের প্রতিবেদক নির্বাচন সম্পর্কে জানতে চান লালমোহন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি , প্রভাষক এবং কবি রিপন শান এর কাছে, তিনি বলেন, বিজয়ী প্রার্থী এমদাদুল ইসলাম তুহিন আমার মামাত ভাই । বিজিত প্রার্থী সোহেল আজিজ শাহীন আমার চাচা শ্বশুর । আমার সহজ-সরল শ্বশুর নুরুল আলম তালুকদার সাহেবের আপন মামাত ভাই শাহীন পাটোয়ারী । আর মেয়র তুহিন আমার শুধু কাজিন নয় , সেই শৈশব থেকেই লালমোহনে আমার সামাজিক সাংস্কৃতিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের অন্যতম অভিভাবক । বাংলাদেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল থেকে এ বছর লালমোহন পৌরসভা নির্বাচনে দুজন সুশিক্ষিত সংস্কৃতিবান যোগ্য মানুষকেই নমিনেশন দেওয়ায় আমি আমার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে দুটো দলকেই অভিনন্দন জানাচ্ছি । বিজয়ী ভাইটি লালমোহনের সারা জাগানো সাংস্কৃতিক সংগঠন আমার হাতেগড়া তোলপাড় কৃষ্টি সংসারের নির্বাহী পৃষ্ঠপোষক । আর বিজিত সাবেক ভাই, বর্তমান চাচা শ্বশুর লালমোহনের ঐতিহ্যবাহী ঐতিহাসিক সাংস্কৃতিক সংগঠন গীতিচয়ন শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক এবং লালমোহন প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি । বিভিন্ন সময়ে তার সাথে নানা তিক্ততা ও মতবিরোধ হলেও আমি একথা নির্দ্বিধায় স্বীকার করি তিনি একজন প্রতিভাবান ব্যক্তি । মেয়র এমদাদুল ইসলাম তুহিন উদারতার যেই উদাহরণ সৃষ্টি করলেন, আমার চাচাশ্বশুর যদি তা মনে রাখেন এবং ফলো করেন তার ভবিষ্যতের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে তিনি লাভবান হবেন।
অবাক করার বিষয় দ্যাখেন- আমি পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি প্রাণের চেয়ে বেশি যাকে ভালোবাসি, সে আমার সাত বছরের চিরসবুজ শিশু ” পরাণপাখি ” : তার সাথে বিজয়ী এবং বিজিত দুজন প্রার্থীর সরাসরি রক্তের সম্পর্ক ।রাজনীতি হোক মানুষের মুক্তির সোপান ।দেশের স্বার্থে আর,”গালাগালি নয়রে ভাই, গলাগলি চাই ।দলাদলি নয়রে ভাই, দেশপ্রেম চাই ।” আমরা সবাই একই মাটির সন্তান । আত্মীয়তার নানান বাঁধনে , রক্তের নানান স্রোত ধারায় আমরা, মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য ।
লালমোহনের গরীব দুঃখী খেটে খাওয়া তৃণমূল মানুষের কাছে কতোটা জনপ্রিয় দেখুন- লালমোহনের সর্বজন পরিচিত কালা মিয়া ওঝার বাক প্রতিবন্ধি কিশোর তার একদিনের কষ্টের কামাই দিয়ে মালা কিনে, তার প্রিয় নেতার সাথে দেখা করে গলায় পরিয়ে দিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছে । লালমোহন পৌরসভার নৌকার মাঝি মেয়র সাহেবও তার এই ব্যতিক্রমী ভক্তকে ঝটপট একহাজার টাকার একটি তাজা নোট দিয়ে পুরস্কৃত করে কাছে টেনে নিয়েছে ।একেই বলে পরিছন্ন রাজনীতি ।
